এ মনের ভেতর তোমার নিরব বসবাস
আমি সইতে পারি না।
আমি দিনে দিনে ভূত হয়ে যাই
অ-নড় প্রেতত্মার দখলে-
মরার আগে ঠিক তোমার মত।
যে ভালবাসা তোমায় চিনে নিয়েছে-
সেই বিহগের মতো ডানা ঝাপটায়,
চোখ বন্ধ করে ঢেউ গোনে
পাতাবারী গাছটা, নিশির ছায়াতলে;
তার কপালে কি সিঁদুর উঠবে না?
কোথাও কোনো রাস্তা নেই-
আছে ভালবাসা আছে আদর জড়ানো
মান-অভিমান।
তবুও ভয় হয় ওপারের ভাঙন দেখে।
আমি এবার ঘুমোবো
তোমার কোলে মাথা রেখে,
তুমি প্রস্তুত হও কেরসিনের লণ্ঠন হাতে নিয়ে;
দুয়ারে কড়া নড়ল বলে!
কয়েক মুহূর্ত পর আমি আসবো
প্রশান্তির নীড় রচনায় তোমার বুকে,
একবার তাকিয়ে দেখ জানালার পর্দা সরিয়ে।
বিশ্বাস হয়ে ওঠে না?
ভাবনার সন্দেহে!
ভুল বুঝলে তো! সমাধান হল না
তোমার আমার ব্যাবধানের।
সেই আচেনা পরশের সজীবতা
কে দিয়েছিল একদিন?
আমি দিয়েছিলাম তোমাকে
আমার মনের ভেতর থেকে,
তা ভুলে যেও না কখনো এ-জীবনে।