Thursday, March 27, 2014

Banglar Kotha Bola (বাংলার কথা বলে)


আমার দেশের মাটিতে সোনার ফসল ফলে,
জলে, বনে, স্থলে স্বরবে তাহারই কথা চলে।
মীন-বিহগ ও সবুজ প্রান্তর জুড়ে
শতরূপ দেখিতে পাই মাতৃরূপ আচলে।

বাদল ধারায় উচাটন মনে কৃষক ধায় মাঠে
টিপটিপ টাপুরটুপুর- মাঝি নদীর ঘাটে।
কখনো শুভ্র-মেঘ-সাম্পানের বৈঠা ধরে
কুয়াশায় পাড়ি দেয় মিঠেল গানের সুরে।

জারি, সারি, মুর্শিদি- ভাটিয়ালি নৌকার পালে
মুটে-ময়রা, মাঝি-মাল্লা, বাউলের মন উতলে।
নিশীথে গল্প-পুঁথি আর রূপকথার ছলে,
'রূপসী বাংলা', 'রাখাল ছেলে' র কত কথা চলে।

দিবালোকে চোখ জুড়িয়ে যায় গো রূপ দেখে
নীলাকাশের ছাউনি ঢাকা শাখা-প্রশাখার ফাঁকে-
ফুল-ফসলে লুকিয়ে দোয়েল আনন্দে সুর তুলে
সকল দেশ ত্যাজ্য করি বাংলার কথা বলে।









Saturday, March 22, 2014

মনের অজান্তে (Moner Ajanta)

পরিচ্ছদ-১
মাঝ রাতে চন্দনার ঘুম ভেঙে গেল। ওদিকে বৈশাখী কাঁদছে চুপিচুপি। চন্দনা আর বৈশাখী দুজন খুব ভাল বন্ধু। একজন আরেকজনকে বেশিক্ষণ ভুলে থাকতে পারে না। একসময় চন্দনা রাতে ভাল ঘুমোত না। সারাক্ষণ শুধু চিন্তা ছিল অন্রর-কে নিয়ে। চলতি কথায় অন্তর খুব ভাল ছেলে। এই যেমন, কাউকে কষ্ট দিতে চায় না। মুর্দা কথা সবাইকে হাসি-খুশি দেখতে চায়। চন্দনা প্রায় রাতে অন্তর-কে কল করে। একথা সেকথা, আরো অনেক জানা, না-জানা-অজানা কথা বলতে থাকে।
শুরুটা তাদের এমন ছিল যে, কেউ বিশ্বাস করবে না ঘটনাটি সত্য। একদিন সবজি বাজারে মটরশুটি কিনছিল চন্দনা। হাতে ছোট একটি ব্যাগ, কিছু গাজর ও মশলার একটি প্যাকেট। অন্য ব্যাগে একটা আস্ত মুরগীর খন্ড-বিখন্ড টুকরাও ছিল। বলা বাহুল্য, অন্তর-এর চোখে আবার ম্যাগনিফায়িং গ্লাস আছে যার বদৌলতে সে বুঝতে পারল ব্যাগে মুরগীর মাংশ। আসলে অন্তর-এর উড়ে এসে জুড়ে বসাটা ভাল লাগল না চন্দনার। অর্থা- আধুনিক যুগে কেউ আবার ফুলকপি দিয়ে প্রেম নিবেদন করতে পারে সেটা কারোর ধারনাই ছিল না। তা আবার ভরা বাজারের মাঝে। অন্তর কিছুটা লজ্জা পেয়েছে সেটা চন্দনা বুঝতে পারল। কিন্তু প্রেমিক মন মানে না কোন বাধা। মুদি দোকান থেকে একটি কলম নিয়ে বাজারের লিস্টে নিজের সিম নম্বরটি লিখে খুঁজতে শুরু করল চন্দনা-কে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল সিম নম্বরটির নিচের লেখা ছিল- 'ফুলকপিটি কি আনেক ভারি? দশ মিনিট অপেক্ষা করুন গোলাপ এন দেব।' এই একটি কথার কারণে চন্দনা বাজারে আরো কিছুক্ষণ ঘুরতে থাকে। ঠিক দশ মিনিটের ভিতরে অন্তর গোলাপ নিয়ে হাজির। ফুলটা হাতে নিয়েই চন্দনা বলল-'ফুলকপি তো ভালই ছিল, রান্না করে খাওয়া যেত।' এরপর দুজন দুদিকের রাস্তা ধরল। কিন্তু অন্তর-এর অন্তর থেকে গেল চন্দনার নিকট। রাতে দুজন ফোনে কথা বলে। বেশ কিছু দিন যাওয়ার পরে তারা বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পড়াশুনা শেষ হয়ানি কারো। কি হবে তাহলে? বছর দুয়েক পরে অন্তর এম.এ শেষ করবে আর চন্দনা বি.এ শেষ করবে। সিদ্ধান্তের বড় অভাব হয়ে গেল। আসলেই এই বয়সটা সিদ্ধান্তহীনতার মতনই। তবুও হাল ছাড়ার পাত্র-পাত্রী নয় কেউ।


পরিচ্ছদ-২ 
বৈশাখী বড় লাজুক প্রকৃতির। ভালবাসা কি জিনিস সে জানে না। তবু কোথা থেকে উড়ে এসে বসল ভালবাসার রঙিন প্রজাপতি। বলতে পারেন মাঝ রাতে পূর্ণিমার চাঁদ। মূল ব্যাপারটা হল- কেউ যদি তার দিকে তাকায় তাহলে সে মনে করে তাকে সে পছন্দ করে, আবার কেউ যদি হাসে তবে মনে করে তাকে উপহাস করছে। দ্বিধা-সংশয় নিয়ে কাটে এই আরকি। কিছুদিন হল কে যেন অচেনা নম্বর থেকে তাকে কল করে প্রেম নিবেদন করেছে। সে ভাবল বাড়িতে জানাজানি হলে পড়াশুনা এখানেই শেষ হয়ে যাবে। তবুও মন বলে কথা। ছেলেটিকে না দেখেই বিভিন্ন কথার জাল বুনতে শুরু করে। দখিনা বাতাসে উড়ুউড়ু মন চলতে থাকে নাও প্রেমে সাগরে। আনেক রাত পর্যন্ত জেগে তাদের কথা চলে। আবশেষে অদেখার মুক্তি মিলবে সেই ভরসায় দেখা হবে বৈশাখী মেলায় বৈশাখীর সাথে ছেলেটির। কিন্তু নিয়তির কি খেলা। বদলে দিল সম্পূর্ণ চিত্রের বৈচিত্র। যে কথাটি গোপন ছিল তা ফাস হয়ে গেল। বৈশাখীর মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্র নিজতেজ হতে শুরু করল। এতদিন যার সাথে তার কথা হয়েছে সে বিবাহিত। লাজুক বৈশাখী পান্তা-ইলিশের মত হারিয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু চন্দনা ও অন্তর-এর সাথে দেখা হওয়ায় বেঁচে গেল এ-যাত্রায়। 
তারা তিনজন একত্রে বসে সিদ্ধান্ত নিল, কে কি করবে। সামনের জৈষ্ঠে চন্দনা ও অন্তর বিয়ে করবে। কিন্তু বৈশাখী বাধা দিল। বৈশাখী বলল, দুটা বছর অপেক্ষা কর চন্দনা। যদি প্রকৃত ভালবেসে থাকিস তবে তোদের কেউ আটকাতে পারবে না। লাজুক বৈশাখীর মুখে একথা শুনে অবাক হয়ে গেল চন্দনা। চন্দনা আরো অবাক হল যখন বৈশাখী বলল- জীবনকে সাজাতে হলে আগে একটা কর্মসংস্থান দরকার। আর দুজনকেই সমান অগ্রাধিকার দিতে হবে কর্মের প্রতি। এই একটি বছর ভালভাবে পড়াশুনা করে একটি কর্মে সেটেল্ট হতে হবে। এখন বিয়ে করলে দুদিন পর ঠোকাঠুকি শুরু হবে। - বৈশাখীর কথায় অন্তর তার ভুল বঝতে পারল। আসলেই পড়াশুনা শেষ না করে বিয়ে করা উচিত হবে না। তাছাড়া একটা কর্মেরও প্রয়োজন আছে।
এরকম অদ্ভুত কথা শুনে বৈশাখী-কে রহস্যময়ী মনে হতে লাগল চন্দনার নিকট। এদিক ওদিক ঘুরে তারা বাড়ি ফিরবে এমন সময় একটা রিক্সার আঘাতে বৈশাখীর শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে গেল। গাছের শুকনো পাতার মত মুখটা মলিন হয়ে গেল বৈশাখীর। চন্দনা বুঝতে পারল, বৈশাখীর মন খারাপ। একটু পাশে দাঁড়িয়ে অন্তর ও চন্দনা কি যেন আলাপ করে নিল। তারপর তিনজনে একটা শপিংমলে গেল। অন্তর ও চন্দনা বৈশাখী-কে একটা গিফট কিনে দিল। একথা সেকথা বলার পর দিন শেষে বাড়ি ফিরল। বাইরে থেকে খেয়ে আসায় আর খাওয়ার প্রয়োজন হল না তাদের। রাতে ঘুমিয়ে পড়ল তারা। হঠা স্বপ্ন দেখে জেগে উঠল চন্দনা। দেখল বৈশাখী তাকে কিছু একটা বলতে চাইছে কিন্তু বলতে পারছে না। এমন সময় বৈশাখী-কে কল করল চন্দনা। কল রিসিভ করতেই চন্দনা বৈশাখী-কে বলল- গিফটা কেমন হয়েছে রে! বৈশাখী না দেখেই বলল, ভাল। কিছুক্ষণ পর ফোনটা রেখে দিল এবং গিফট খুলে লাল একটা শাড়ি দেখে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করল।




গল্পটি ভাল লাগলে শেয়ার করবেন।
তাহলে এরকম ছোট গল্প খুব শিঘ্রই পাবেন। 
(এডমিন)

Friday, March 21, 2014

Sudhu Valobasar Jonno (শুধু ভালবাসার জন্য)


ভালবাসার জন্য
দুর্গম মরু পাড়ি দিতে পারি নিমিশে।
পারি শীতের কুয়াশায় খুঁজে নিতে
প্রিয়তমার শিশিরস্নাত বদনখানি।
আমি হিমালয়ে যেতে পারি পবনের পাখায় ভর করে।
টগবগিয়ে ঘোড়া ছোটাতে পারি
ট্রয়-এর মত আরেকটি যুদ্ধ করতে।
আমি রাতের আধার ও সূর্যের সন্ধিক্ষণে
অপেক্ষায় থাকতে পারি শতবর্ষ।
হাজার পদ্মের পাপড়ি বিছাতে পারি-
সহস্র কণ্ঠক সয়ে আনতে পারি অজস্র গোলাপ।
আমি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় যেতে পারি,
আমি উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু যেতে পারি
শুধু তুমি যদি ভালবাসা দাও।






Thursday, March 20, 2014

Arther Kiria (অর্থের ক্রিয়া)


অর্থের অসমাপ্ত ক্রিয়া
    দিনে দিনে মুর্খ করেছে আমায়-
তার একবিন্দু নিতে চাইলেও
দেব না ভেবেছি।
যে ক্রিয়া মুছে দিতে পারে
    জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাস,
তার পিছে ছুটছি অহরহ
কিবা দিন কিবা রাত্রি।

মুঠো মুঠো দৌলত
  কেড়েছে সুখ বস্তা বস্তা।
তাই ফেলে দিয়েছি সমুদ্রের মাঝে
যে কানা কড়ি ছিল দু'পকেটে,
এখন শূন্য কড়িতে
     বসে আছি নদীর তটে
শুধু দেখবার আশায়, কি ঘটে
নিশ্চই তা নয় সস্তা?

এই তো সুখের শঙ্খ বেজে উঠল,
প্রদীপ জ্বেলে বসে আছে ধীর গতির আশ্বাসে-
এ-মনের বিশ্বাস।






Wednesday, March 19, 2014

Bujhe Nita Hoy (বুঝে নিতে হয়)


অনেকটা পথ পাড়ি দেবার ছিল
কিন্তু পারিনি,
যা কিছু বলার ছিল
তাও বলতে পারিনি-
তবে "কিছু কথা বুঝে নিতে হয়"
মধুময় কথার পিঠে কথার ছলনায়।

মনে মনে লুকোচুরি
   হেঁয়ালীর ফুলকুঁড়ি
সবটাই না পাওয়ার বেদনায়,
মিছে মিছে হাসি শুধু
সরাসরি বলতে না পারায়।

ফুলে ফুলে মালা গাঁথি
       ক্যানভাসে ছবি আঁকি
দেখে না ঐ দু'নয়ন?
আমি তো বুঝে গেছি
         ভালবাসার নেই বাকি
তবু কেন বোঝে না সে হৃদয়?

হাসি-খুশি রাশি রাশি দিয়েছি সাজিয়ে আজি
বলতে পারি নি লিখেছি যেথা
কোন এক মানবীর আভিমান,
দেখেও দেখে না বুঝেও বোঝে না
তবু করি তার জয়গান,
করে না করুক সে শত অপমান।

কত কথা ভাবে সে
       নিশ্চুপ নির্ঘুম বালিশে
কিছু না কিছু পাওয়ার আশায়-
তার কাছে আছেকি প্রেমের ভাষাটি?
মনের কথাটি বুঝে নিতে হয়
কখনো কখনো না কিছু বলতে পারায়।





Tuesday, March 18, 2014

Sopner Payra (স্বপ্নের পায়রা)


ভালবাসার চিলিকোঠায় স্বপ্নের পায়রা
গেয়ে ওঠে প্রেমের উষ্ণ ছোয়ায়-
আঁড়ালে রইবে না আর,
লুকানো প্রেমের শত কথার জাল বোনা
শেষ হল এ সময়।

মখমলের ঝুঁটিতে সোনালী আভরণ

দিশেহারা করে পথিকের দু'নয়ন।
হাতে স্পর্শে দু'ডানায় শিহরন তোলে;
যে প্রেমের ষোল আনা-ই খাঁটি
         কেউ পারে না যেতে ভুলে।


Sunday, March 16, 2014

Amio Porobasi (আমিও পরবাসী)


রাতের সীমানা পেরিয়ে
       জোছনার সাথে আলিঙ্গন
বড় মধুর সে রাত্র।
কিন্তু, একলা সঙ্গিহীন দূরপরবাসী যাত্রী তুমি
একবার ফিরে তাকাও পিছন পানে!
হয়তো ভ্রাতা, হয়তো কন্যা
জননী-জনক নয়তোবা প্রেমিক-প্রেমিকা বেশে
দাঁড়িয়ে আছি আমি অশ্রু-নয়নে।

তোমার স্নিগ্ধ বদন
           আজ মলিন কেন?
তোমার মত আজ আমিও পরবাসী হব-
তোমার নতুন দেশের কাছে।
হোক না কুয়েত, কাতার, আমিরত
সবই তো এ-বুকে করে আঘাত, তাই
বিদায় দিতে বড় কষ্ট হয়।





রাতে জোছনা আর চোখে আসে না,
পাতার ফাঁকে আর চাঁদ ওঠে না-
ঘুম ভেঙে গেলে কেউ মায়ার হাত
বুলিয়ে দেয় না,
তাই আমিও এক অন্যরকম পরবাসী।
তুমি এ-দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছ
আর আমি নিজ দেশে পরবাসী।
তোমার আমার ব্যবধান একই-
যতদূর তুমি আসবে আমায় দেখতে
ততদূর আমাকেও যেতে হবে দেখতে।
তাই, আমরা দু'জনই পরবাসী।




Thursday, March 13, 2014

Chanderer Mohonay (চন্দ্রের মোহনায়)


আধার কেটে যায় চন্দ্রিমার আলোকিত ঝর্ণাধারায়
তবু মনের আধার কাটল না বন্ধু তোমা বিনা।
বসন্ত চলে যায়, ফিরে না তাকায়
জুঁই-চামেলীর সুবাসের প্রার্থনায়।

আমি একেলা আধার রাত্রিবেলা
উচ্ছ্বাসে বন্যা বয়ে যায় মোর অশ্রুধারায়;
তবু বন্ধু এলো না নিশি জগরনে
এক মুঠো সুখ দিতে নিদারুন যন্ত্রনায়।

কতো সইবো আর কতো গাইবো
অচেনা সুরের বাদ্য-বীণায় বাজিছে যা, তা তো সংশয়।
তোমা পথে চেয়ে আধারে লুকায়ে খোয়ায়েছি-
তার সন্ধান করি আমি বৃত্তাকার চন্দ্রের মোহনায়।




Monday, March 10, 2014

Tomar Premer Argho (তোমার প্রেমের অর্ঘ্য)


অদূর প্রচীর ঘেসে সবুজ-সোনালী বেসে
দেখেছিলাম তোমার মায়াময়ী নেত্রদ্বয়।
তুমি বিজলীর ঝলকানি
তুমি উদাসী প্রেমের বকুনি
আশার আশা তুমি সারাটি সময়।

তুমি শরতের শিউলি- বসন্তের গোলাপ-
আলোধারার মোহিনী বিকেলের আলাপ,
উষ্ণ রজনীর উষ্ণ আদরের পূর্ণ শশি-
        বিরহী প্রেমিকের প্রলাপ।

তুমি অশান্ত সাগরের সীমাহীন ঢেউরাশি
তুমি পিরিতে জ্বলা রাখাল ছেলের মোহন বাঁশি-
মোহনায় ঘুমন্ত স্বর্গ পরী।
ভুলে যাই তোমার পানে চেয়ে থেকে-
আজকে তোমার প্রেমের অর্ঘ্য নিলাম দু'হাতে।










Saturday, March 8, 2014

Ferot Chai (ফেরত চাই)


কি প্রয়োজন ছিল ভালবাসার?
যা ছিল দিয়ে দিলাম উইল করে,
শুধু আমার মনটা ফেরত দাও।

তুমি বুঝতে চাও না,
না, বুঝতে পার না-
এ মনটা তোমার দখলে পড়ে আছে,
আমি ফেরত চাই।

আমি মন হারা দেহ নিয়ে ঘুরি
প্রেমহীন বেদনায় পাথর চাপা দিয়ে
তপ্ত মরুর সূর্য্যপানে।

কি প্রয়োজন ছিল মালা গাঁথাবার?
শুকিয়ে গেছে তোমার পানে অশ্রুপাতে
চিরচেনা নয়ন-সাগর।

দেহটাও তোমায় দিয়ে দিলাম,
শুধু আমার মনটা ফেরত দাও।
যদি নাইবা পার দিতে তবে
হেমলকের নির্জাস তুলে দাও মুখে।
নিরব ঘুমের দেশে চলে যাব
মন হারা মানষী আমি।




Sunday, March 2, 2014

Vabna (ভাবনা)



 তোমার আমার শেষ ঠিকানা একই মাটিতে
মরার পরে বাঁশের দোল, নয়তো খাটিতে
আমরা সবই মানুষ ও ভাই, সবাই আমরা মানুষ
অনেক অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, করে অমানুষ

তুমি-আমি দু'জন মিলে করবো সুখের সাধন
সবাই মোরা একে অন্যের, হৃদয়ে হৃদয়ে বাঁধন
ভাবো তুমি স্রষ্টা যিনি, তিনি হলেন এক
এই নীতিতে বিশ্বাসী রই, হয়ে সবাই সজাগ