Friday, December 12, 2014

Jeona Vula -যেও না ভুলে


আজ সমুদ্র হতে কিছু হাওয়া এনে তোমাকে দিতে ইচ্ছে করছে।
কখনো কখনো তোমার নীলাম্বরে নিজেকে হারাতে স্বপ্ন দেখেছে হিয়া,
তোমার আহরিত মুক্ত-মালার প্রনয়ে নিজেকে হারাতে ইচ্ছে করছে।
তোমার ছবি ভেসে উঠছে-
অন্তরের আকুল প্রার্থনা কেঁপে কেঁপে উঠছে বলার অপেক্ষায়।
তুমি সেই চেনা- তোমার অলঙ্কার সীমাহীন,
শশির মাল্য পরাতে চাই অকৃত্রিম ভালবাসায়।

এ-মনের সব কিছু দিয়ে দিলাম তোমার অনুকূলে
আমাকে তুমি যেন যেও না ভুলে!











Friday, September 26, 2014

EiD & Pujar Special Song

পূজার স্পেশাল Song
1. Khusita Aj Mon Metasay. (DownLoad)
Puja Special Song
খুশিতে আজ মন মেতেছে ডাউনলোড

2. Abar Pujay SosurBari Jabo (DownLoad)
এবার পুজায় শ্বশুর বাড়ি যাব


EID Special Song

ঈদের স্পেশাল গান ডাউনলোড করুন
ডাউনলোড




Thursday, September 11, 2014

খুশিতে আজ মন মেতেছে


DownLoad The Song      DownLoad Now



খুশিতে আজ মন মেতেছে যাবো আমি সবই ভুলে
ঢাকের ওই বাদ্য শুনে মনটা আমার কেমন করে।
আজকে তোরা আমায় কেউ নজরবন্দি রাখিসনারে
আনন্দতে ভেসে যাবো নেইতো কোনো সীমানারে
প্রতিক্ষার অবসান এবার হল যে.....
মা এসেছে দেখ মা এসেছে
একটি বছর পরে আবার মা এসেছে
মা এসেছে দেখ মা এসেছে
মন্দিরেতে ঢাকের বাদ্য বেজে উঠেছে।
আজ প্রভাতে সবার আগে দেখবো আমার মাকে
দুঃখগুলো ঘুচে যাবে মায়ের মুখটা দেখে
পুষ্পমালা গেঁথেছি আজ দেবো মায়ের গলে
সুখেতে মন ভরে যাবে মায়ের আশীষ পেলে
মন্দিরেতে মায়ের সামনে করবো আরতি
মন্ত্র পড়ে পুরহিত মশাই জানাবে ভক্তি
ভাগ্য সবার খুলে যাবে শুভকামনায়
ছেলে-মেয়ে বুড়ো-বুড়ির আনন্দমেলায়


সি.এম.বিধান


DownLoad The Song

Thursday, July 10, 2014

A Moner Vetor-এ মনের ভেতর


এ মনের ভেতর তোমার নিরব বসবাস
আমি সইতে পারি না।
আমি দিনে দিনে ভূত হয়ে যাই
অ-নড় প্রেতত্মার দখলে-
মরার আগে ঠিক তোমার মত।

যে ভালবাসা তোমায় চিনে নিয়েছে-
সেই বিহগের মতো ডানা ঝাপটায়,
চোখ বন্ধ করে ঢেউ গোনে
পাতাবারী গাছটা, নিশির ছায়াতলে;
তার কপালে কি সিঁদুর উঠবে না?
কোথাও কোনো রাস্তা নেই-
আছে ভালবাসা আছে আদর জড়ানো
মান-অভিমান।
তবুও ভয় হয় ওপারের ভাঙন দেখে।

আমি এবার ঘুমোবো
তোমার কোলে মাথা রেখে,
তুমি প্রস্তুত হও কেরসিনের লণ্ঠন হাতে নিয়ে;
দুয়ারে কড়া নড়ল বলে!
কয়েক মুহূর্ত পর আমি আসবো
প্রশান্তির নীড় রচনায় তোমার বুকে,
একবার তাকিয়ে দেখ জানালার পর্দা সরিয়ে।
বিশ্বাস হয়ে ওঠে না?
ভাবনার সন্দেহে!
ভুল বুঝলে তো! সমাধান হল না
তোমার আমার ব্যাবধানের।

সেই আচেনা পরশের সজীবতা
কে দিয়েছিল একদিন?
আমি দিয়েছিলাম তোমাকে
আমার মনের ভেতর থেকে,
তা ভুলে যেও না কখনো এ-জীবনে।




Tuesday, July 8, 2014

Khoniker Dristi-ক্ষণিকের দৃষ্টি


অনেক কথা ছিল তোমাকে বলার,
বলা হল না ক্ষণিকের দৃষ্টিতে।
আরো কতনা মুহুর্ত কেটে যাবে
তোমার দৃষ্টির পাতা ফেলতে ফেলতে।

এখনো তোমার পরিচয় হয়নি জানা;
তোমার নির্মল প্রেমের বার্তায় আমার
পুস্প দিলাম শিশির-স্নাত শৈশবে,
তুমি স্মরণ করে রেখো তোমার স্মৃতির আদরে।
আমার অনেক চাওয়া
তোমার অনেক পাওয়ার মাঝে বিলিন করেছে,
সৈকতের বালুকাতে
একটু দেখা হওয়াতে
চেয়েছে হৃদয় কাছে পেতে।

অনেক ভালবাসা ছিল হৃদয়ে
তোমার ক্ষাণিক আসাতে,
যেখানে কোন খাদ নেই-
তোমাকে চাওয়াতে।
আমি দেখে যেতে চাই সারাক্ষণ
তোমার প্রেমো-পুরীর সকল মায়াতান
আরো একবার সৈকতের ছোঁয়াতে
তোমার বক্ষ মাঝারের কোমল হাওয়াতে।



Thursday, July 3, 2014

Pawar Asa-পাওয়ার আশা


এ এমন এক ভালবাসা
যায় না কাছে আসা,
পায়না কূলের দিশা
দিকে দিকে তাই বিদিশা
বাঁধে বুকে নিরাশা;
ছেড়ে দিয়েও অনেকে-
করে পাওয়ার আশা,
এ এমন এক ভালবাস। 




Valobasa-ভালবাসা


ভালবাসার কোনো বয়স লাগে না
তবু ভাবতে কষ্ট হয়,
কেউ কেউ তা মানতে চায় না

যাক সে কথা
যে দেয় দিক ব্যথা,
মরে তো যাব না!
আর গেলেই তো ভাল হল,
খুঁজে তো পাবে না!



Thursday, June 26, 2014

Valobasar Rin-ভালবাসার ঋণ


মিথ্যা বলো না
আমি সইতে পারি না।
যে মিথ্যার আশ্রয়ে তুমি যেতে চেয়েছো,
তার সমাপ্তি আজ করে ফেলো।

তোমার ফুলেল চেহারা
আমার আর সহ্য হয় না।
রঙে রঙে কারুকাজ
আমায় কাছে আর ডাকে না।
বড়ই ভিন্নতা এসেছে তোমার মাঝে
যার কোনোটার মূল্য আর নেই সমাজে।

আমি সত্যের আশায় বসেছি ধ্যানে
আমি ভুলতে চেয়েছি অজ্ঞানে
তোমার মিষ্টি হাসি।
তুমি পরবাসি
তুমি সর্বনাশী ফণিরূপী আশিবিষ;
আমার অন্তরের কলংকিত অধ্যায়।

কিভাবে পারো তুমি
ভূমিতে মেশাতে আমার এই প্রেম?
তার মূল্য তোমায় দিতে হবে একদিন,
তবেই-না পূর্ণ হবে ভালবাসার ঋণ।


 



Tumi Ami Faguna-তুমি আমি ফাগুনে



ভালবাসার মায়াজালে বেঁধেছো আমায়
তাই ছেড়ে যাবো না কাঁদিয়ে তোমায়।
সুখ আছে যতোটুকু আজ দেবো উপহার
সজনীগো তোমায় ছাড়া-দিন কাটে না আমার।

ভোরের আলোতে মন রাঙিয়েছে যে ধরনী
তার সাথে তোমার রূপের কোনো তুলনা করিনি-
শতদলের ভেলাতে ভেসে প্রেম যমুনায়
আরেকটি সুখের তরী আমি বেয়ে চলেছি
অদূরে দাঁড়িয়ে থেকে তুমি কি-তা বুঝতে পারনি?

এসো, অচিন গাঁয়ের পথটি ধরে হাঁটি দুজনে
তোমার আমার চেনা সুরের মিষ্টি ভুবনে-
দিনের রবি উদয়ের শুভ ক্ষণে
আবার মিলতে চাই তুমি আমি ফাগুনে।





Wednesday, June 25, 2014

Cholo Ghumai-চলো ঘুমাই


ঘুম আসতে পারে এই ভেবে ঘুম আসে না
কথা বলতে হবে এই ভেবে বলতে পারি না
তবে কি আমার দোষ?
ভেবেছিলাম করবো আপোস!
তবুও হল না
তবে জেগে থাকতে পারি
সুখ পাখি গায় যদি সারি,
তোমার কাননে যার বসবাস
সেখানেই করবো অবকাশ
আরো একপ্রহর না-হয় কেটে গেল
যে পাখিটা আমায় বলল,
চলো ঘুমাই, চলো!!!!!



Sunday, June 22, 2014

Thakbo Ami-থাকবো আমি


প্রেমের পরশে বিহ্বল হলাম
যে-পরশ তোমাকেও দিলাম
আজকের বিকেলে,
রঙিন হরশে কোলাহল নিভিয়ে
আলিঙ্গনে নিলাম তোমায় জড়িয়ে-
উড়ন্ত শঙ্খচিলে।

তোমার আচলের অনাবিল প্রশস্তে
নিরাকার প্রেমের চঞ্চল বসন্তে
বসেছিলাম দুজন,
অচেনা সাদা মেঘের সসীম ভেলাতে
ভাসিয়ে দিলাম প্রেমের সাম্পান
হয়ে তোমার আপন।

অজান্তে তোমার প্রেমের সমাপ্তি
কখনোই তুমি করবে না জানি
চিরচেনা সেই তুমি,
সীমান্তে নয়, দিক্ ভ্রান্তে- রবো দাঁড়িয়ে
যখনই তোমার অন্তিম চাওয়া থাকবে
আমার নিকট--- থাকবো আমি;
হতে দেবনা তোমায় জলহীন মরুভূমি।





Nisita Ghumabo-নিশিতে ঘুমাবো


আমি তখনি তোমার দৃষ্টিতে ধরা দেব
যখন তুমি চাইবে আপন করে পেতে।
আমার স্বপ্ন তুমি ভেবে নিবে,
যখন তোমার চোখে আমি তাকিয়ে থাকবো।

একটু শুনে ফাগুনের মৌ-বনে
আমি থাকবো দাঁড়িয়ে,
যেথায় তোমার আচলে আমায়
একটু নেবে জড়িয়ে।
অনন্ত ভালবাসার আলিঙ্গনে আমি তোমাকেও বাধবো।

আমি তখনি তোমার বাহুডোরে ধরা দেব
যখন আমায় পাওয়ার জন্য ব্যকুল হবে।
তোমার স্বপ্ন হয়ে বেঁচে থাকবো
সুখ-সাধনার অমলিন চেতনায়।
তোমার শূন্য হাতটি আমি দুহাতে ধরবো।

আরো দিন চলে যাবে যতটুকু পার করেছো-
আমি তোমার প্রতিক্ষায় অনেক বছর দাঁড়িয়ে;
তোমার প্রেমের প্রার্থনায় কুল হারিয়ে
সহস্র শতাব্দী কাটাবো- অজানা ফুলকুড়ানীর দৃষ্টিতে
প্রেমের বরিধারা দেখে অজান্তে নিশিতে ঘুমাবো।




Friday, June 20, 2014

Abar Futba Ful-আবার ফুটবে ফুল

অনেক রজনীগন্ধা রাতে গন্ধ বিলায়
যখন লোকালয়ে কেউ থাকে না,
আমি সেই সুবাসের পুজারী
তোমারি প্রতিক্ষায়ে রাতের আধার গুনি-
তবু তোমার সুবাস এসে পৌছায় না

আমি তোমার বাহুতে মরতে চাই
আমি তোমার শিহরে জাগতে চাই,
তবে নিশির শিশিরে নয়
দিবাকরে নীলিমায়

কোন এক প্রেয়োসীর প্রনয়ে ক্লান্ত-দিগভ্রান্ত নয়
অগ্নি ফোয়ারার স্ফুলিঙ্গ মাত্র
দমকা বাতাসে নেভেনাই

অনেক শিউলি ফুটে থাকবে
তোমার আঙিনায়,
কোন রূপসী বধূ হয়তো তুলে নেবে শাড়ীর আচলে
তবও তোমার হৃদয় লুকিয়ে যাবে না আমার চোখের জলে

একটু ভাবনার আড়ালে
কেন আমায় জড়ালে ভুলে যাবার তরে,
তুমিতো বেঁচে আছো
শিউলি,বকুল,রজনীগন্ধার ঘরে

আবার ফুটবে ফুল
হবে না তার ভুল নিশি জাগরনে,
তব হতে পারে একদিন
মরনে, রেখো সে কথা স্মরণে

Wednesday, June 11, 2014

Premer Kotha- প্রেমের কথা


ভালবাসা কোন খেলনা বস্তু নয়
এ এক অন্যরকম মিষ্টি সময়
খাঁটি ভালবাসার হয়না পরাজয়
তবে ক্ষণিক ভরে যায় বেদনায়

ভালবাসা মোছেনা একটি পলকে
ভাবনার অন্তরালে রয়ে যায় এ-বুকে
সৃষ্টির মাঝে লুকানো সেই ভালবাসা
শুধু তোমার নয়,সবারই আশা



Wednesday, May 21, 2014

Premer Soinik (*প্রেমের সৈনিক)

গল্পটি শেষ হল কিন্তু পরিণতিটা জানা হল না।
সময়ের বাঁকে বাঁকে গল্পটি যখন থেমে যায়
তখনি মনে হয় বেঁচে থাকা দায়!
আর একটু সাহস, আর একটু সংগ্রাম
সবই বেছে নিতে হয় জীবনকে সাজাতে।
আমি এরকম পরাজয়ে অভ্যস্ত নই
যেরকম তুমি ভেবে নিয়েছো।

আমি আধারে তারকার বাতি
আর লুকিয়ে থাকা প্রভাতী
দেখতে পাই।
কোন ব্যর্থ জীবনের গল্প নয়
যার একটু আবেশে আমি মোমের মত গলে যাবো।
সীমাহীন সাগরের জলরাশি মত
নিঃশেষেও হবো না শেষ।

কোন্ কালিমা'র ভয় আমাকে দেখাতে চাও?
আমি ইস্পাতের বর্মে মোড়া প্রেমের সৈনিক
নির্ভীক তোমার ধারাল অস্ত্রের সুচাগ্র ফলায়।
পিছু হটতে শেখেনি হৃদয়
পরাজয়েও করি না ভয়।

তবে দন্ড তোমাকে পেতেই হবে
নিয়তির দোহাই,
তুমি যে খেলা খেলছো সবসময়
তাকে নিশ্চিহ্ন করে দেব,
           হবে জয় নিশ্চই।

Valobasi Sudhu Tomakei Valobasi (ভালবাসি শুধু তোমাকেই ভালবাসি)

আমার ছোট্ট স্বপ্নটি তোমাকে ঘিরে-
অনেক পূর্বে দেখেছি,
তাইতো আজোও বেঁচে আছি।
আমার একটি চাওয়া তোমাকে ঘিরে
লুকিয়ে রাখিনি, বলে দিয়েছি,
আমার ঘরের লক্ষ্মী হয়ে রবে-
ভালবাসার ছোঁয়ায়, সেদিন ভেবেছি।

কোন্ ফুলের পাপড়ি দিয়ে আজ তোমাকে সাজাবো,
সারাদিন ভেবেছি তার দু-এক টুকরা চিন্তার মায়াজালে।
আমি তোমায় দেখেছি তোমার অপূর্ব লাবণ্যে
উষ্ণতার ছোঁয়া জড়ানো গহীন অরণ্যে।
আমি ভালবাসি আমি ভালবাসি শত জনম ধরে
পাহাড়ী ফুলের শিখরে তোমারই মায়ায় পড়ে একদিন বিকেলে।
আজ পেয়েছি সত্যিকার আলোকধারায় এ-বুকের গভীরে, ধরে রাখবো
অনন্তকাল তোমারই ভালবাসার তেজস্বিতায় আর
কিছু কথার আড়ালে তোমাকেই শুধু ডাকবো।

ভুল ভেবো না,
আরোও একটি চাওয়া
জানি, সেটিও হবে পাওয়া।
একসাথে রইবো মোরা দুজনের বন্ধনে
ভুল যেন না এসে বাসা বাঁধে এই প্রাণে-
আমি তোমারই থাকবো তোমারই ছায়া হয়ে
মরণ ছোবে না নিশ্চুপ তোমাকে আমাকে
বেঁচে রবো অমলিন;
জানিয়ে দাও সে-কথা তুমিও পৃথিবীকে,
ভালবাসি, শুধু তোমাকেই ভালবাসি।





Tuesday, May 6, 2014

Akti Gan Tomar Jonno (একটি গান তোমার জন্য)


যে-মনে কোনো ব্যথা নাই
সে মনের মূল্য কোথায় ভাবি শুধু তাই।
শত শত ব্যথার ফুলে গেঁথেছি আমি মালা
যার কোনো শেষ নাই দিয়েছে শুধুই জ্বালা।
সুরে সুরে গানে গানে বলি আমি সেই কথা
পিছনের স্মৃতি দিয়ে যে-দুখের সারি গাঁথা।।
কার ভুলে দূরে যায় এ-কোন নিঠুর খেলা
ক্ষণে ক্ষণে মনে মনে ভেসে ওঠে সেই ছবি
লুকোচুরির মায়াবনে দোলা দেয় তার সবিই।।
বেদনার সুর নিয়ে গেয়ে যাই এই- বেলা






Sunday, April 27, 2014

Lukata Chai (লুকাতে চাই)

আমি আড়ালে লুকাতে চাই তোমার বেদনা নিয়ে
ভিনদেশি শূন্যতায়।
খুঁজতে এসো না দুঃখ পাবে
ভরে যাবে নিদারুন সংশয়।

যত ব্যথা এ-বুকে দিয়েছো তুমি
তার কোনো তুলনা নাই-
তবে তোমায় কিন্তু সুখি হওয়া চাই!
শত শত প্রশ্ন সাথে নিয়ে আজ
ছুটে চলেছি বিবাগীর সাজে সমুদ্র মোহনায়।
তোমার দেখা সৈকতে আমি হব নিষ্ঠুর-ভয়ংকার,
তপ্ত বালুর কণায় কণায় মিশে রব একাকী
যতদিন মুছবে না তোমার অহংকার।




Monday, April 14, 2014

Notun Prichoy Howa Dorkar-(নতুন পরিচয় হওয়া দরকার)



Notun Prichoy Howa Dorkar (নতুন পরিচয় হওয়া দরকার)

একটা বছর কেটে গেল তোমাতে আমাতে পরিচয়,
যে কলমিলতার শুভ্র অধরে চুম্বন
আরেকটি দিগন্ত উন্মোচিত করে সহসায়;
সেই তোমার কথা মনে রেখেছি প্রবাসী যাতনায়।

নির্মল উষা'র তটে বিহগের কলতান
শিহরে ওঠা নিশ্চুপ বনের ধ্যান ভাঙে।
জড়তার শিশির বিন্দুর সবুজে ভরা মাঠে
আরেকটি বছর ঘুরে এল আবার।

গহীন অন্তরীপে স্মৃতির উষ্ণ-শুষ্ক-
সিক্ত কথার ভিড়ে শাপলার সুগন্ধ ভাসে,
আর হাতের আড়ালে গোলাপ হেসে ওঠে
বন্ধুত্বের হাতটি পাওয়ার আশায়।

অতি দ্রুত সময়ের পদক্ষেপ
শুধু আক্ষেপ বয়ে আনে সুপ্ত জীবনে,
কত বাকি! কত দেখেছি! কত দেখবো!
বছরটা সত্যিই কেটে গেল!

একটা দিন, সে-হল আগামীকাল‍!
সকল সাজ-সজ্জ্বার চিহ্ন মুছে যাবে
রাস্তার ধুলোতে।
আরেকটা বার নতুন পরিচয় হওয়া দরকার,
যদি জীবনটা মিঠেল হয়!

আমি অপরিচিত, আমি অপরিচিত হতে চাই
নব ধারায় নব দিনে।
আমি একতার স্পর্শ পেতে চাই,
দো'তারার গানে নাচতে চাই তোমায় সাথে নিয়ে।
ওই বৃক্ষের ছায়ায় বসতে চাই
সজীবতার মিষ্টি মুকুল হাতে নিয়ে-
অনেক রঙে জড়াতে ইচ্ছে করে মধুময় বৈশাখী দিনে।

আরো একটা বছর নিমিষেই চলে যেতে পারে
চেনা পরিচয় মুছে না দিলে।
এসো হাতে হাত ধরি, শপথ করি
নববর্ষে নব জীবন গড়ি।





Monday, April 7, 2014

Pratthona Tomar Proti(প্রার্থনা তোমার প্রতি)


যদি ভুল করে তুমি কখনো
                আমায় ঘৃণা করো,
সেদিন তুমি এ-বুকে
          ছুরির আঘাত কোরো।
পরম সুখে পৃথিবী ছেড়ে
                বিদায় নেব সেদিন,
মুঠো ভর্তি দুঃখ নিয়ে
                 মিশে যাব জমিন।
মাটি শুধু ভালবেসে
               কাছে নেবে আমায়
আর সমস্ত পৃথিবী,
               দিয়ে দেব তোমায়।
এই রইলো মোর প্রার্থনা
                     তোমার প্রতি,
দিবস-যামিনি
               তার বইবে স্মৃতি।









Tuesday, April 1, 2014

Mone Pore Jay (মনে পড়ে যায়)


সবুজ প্রান্তরে কত চলেছি হাত ধরে
তোমার কি মনে পড়ে না!
আধারে জোনাকী খেলায় ডেকেছি কত তোমায়
তার কিছুই কি মনে পড়ে না!
আমি ভুলিনি সে কথা-
তোমার আমার প্রতিশ্রুতি
ধুলোয় মিশে একাকার, হল নির্বিকার।

রাত জেগে বসে থাকি
একাকী কল্পনায় ছবি আঁকি-
তোমার স্মৃতির কোন এক ভাঁজে
হয় তো মিশে আছি আমি।
ভাগ্যের তিক্ততার মাঝে সবুজ প্রান্তর
লালচে-ফিকে হয়ে যায়
তবু দিন গুনি, কুয়াশার জাল বুনি,
জোনাকীর মুর্ছনায় সে কথা
ভুলতে চাই তবু মনে পড়ে যায়।




Kobe Tumi Firba (কবে তুমি ফিরবে)


বড় আশায় যে ঘর বেধেছি তার কোন মূল্য দিতে পারনি
আমি অতলে তলিয়ে যাব- আমি যা কখনো ভাবিনি।
চির চেনা তুমি অচেনার চাদরে নিজেকে লুকালে।
আমি কি দোষ করেছি বলতে পার?
জুঁই- সেজুতী- মালতী আর কথা কয় না নিরালা
সেই পারুল বনে। সেথায় শুধু কান্নার রোল আর হাহাকার।

তুমি ছাড়া এ-ঘর অসার-মলিন 
ঝোড়বাতাসে উড়ে বেড়ানো খড়-কুটার মত।
আমি বাচতে চাই তোমার দুটি হাত ধরে, 
আসবে কি সেই শিমুল তলে।
জানি তোমার প্রতিক্ষা করাটা আর সাজেনা, 
তবুও করে যেতে চাই হাজার বছর।
আমার এ ভালবাসা খাঁটি-পবিত্র গঙ্গাস্রতের মত,
অচেনা পথটির দিকে তাকিয়ে দিনগুনে যাই,
কবে তুমি ফিরবে আমার এ কাননে।



Thursday, March 27, 2014

Banglar Kotha Bola (বাংলার কথা বলে)


আমার দেশের মাটিতে সোনার ফসল ফলে,
জলে, বনে, স্থলে স্বরবে তাহারই কথা চলে।
মীন-বিহগ ও সবুজ প্রান্তর জুড়ে
শতরূপ দেখিতে পাই মাতৃরূপ আচলে।

বাদল ধারায় উচাটন মনে কৃষক ধায় মাঠে
টিপটিপ টাপুরটুপুর- মাঝি নদীর ঘাটে।
কখনো শুভ্র-মেঘ-সাম্পানের বৈঠা ধরে
কুয়াশায় পাড়ি দেয় মিঠেল গানের সুরে।

জারি, সারি, মুর্শিদি- ভাটিয়ালি নৌকার পালে
মুটে-ময়রা, মাঝি-মাল্লা, বাউলের মন উতলে।
নিশীথে গল্প-পুঁথি আর রূপকথার ছলে,
'রূপসী বাংলা', 'রাখাল ছেলে' র কত কথা চলে।

দিবালোকে চোখ জুড়িয়ে যায় গো রূপ দেখে
নীলাকাশের ছাউনি ঢাকা শাখা-প্রশাখার ফাঁকে-
ফুল-ফসলে লুকিয়ে দোয়েল আনন্দে সুর তুলে
সকল দেশ ত্যাজ্য করি বাংলার কথা বলে।









Saturday, March 22, 2014

মনের অজান্তে (Moner Ajanta)

পরিচ্ছদ-১
মাঝ রাতে চন্দনার ঘুম ভেঙে গেল। ওদিকে বৈশাখী কাঁদছে চুপিচুপি। চন্দনা আর বৈশাখী দুজন খুব ভাল বন্ধু। একজন আরেকজনকে বেশিক্ষণ ভুলে থাকতে পারে না। একসময় চন্দনা রাতে ভাল ঘুমোত না। সারাক্ষণ শুধু চিন্তা ছিল অন্রর-কে নিয়ে। চলতি কথায় অন্তর খুব ভাল ছেলে। এই যেমন, কাউকে কষ্ট দিতে চায় না। মুর্দা কথা সবাইকে হাসি-খুশি দেখতে চায়। চন্দনা প্রায় রাতে অন্তর-কে কল করে। একথা সেকথা, আরো অনেক জানা, না-জানা-অজানা কথা বলতে থাকে।
শুরুটা তাদের এমন ছিল যে, কেউ বিশ্বাস করবে না ঘটনাটি সত্য। একদিন সবজি বাজারে মটরশুটি কিনছিল চন্দনা। হাতে ছোট একটি ব্যাগ, কিছু গাজর ও মশলার একটি প্যাকেট। অন্য ব্যাগে একটা আস্ত মুরগীর খন্ড-বিখন্ড টুকরাও ছিল। বলা বাহুল্য, অন্তর-এর চোখে আবার ম্যাগনিফায়িং গ্লাস আছে যার বদৌলতে সে বুঝতে পারল ব্যাগে মুরগীর মাংশ। আসলে অন্তর-এর উড়ে এসে জুড়ে বসাটা ভাল লাগল না চন্দনার। অর্থা- আধুনিক যুগে কেউ আবার ফুলকপি দিয়ে প্রেম নিবেদন করতে পারে সেটা কারোর ধারনাই ছিল না। তা আবার ভরা বাজারের মাঝে। অন্তর কিছুটা লজ্জা পেয়েছে সেটা চন্দনা বুঝতে পারল। কিন্তু প্রেমিক মন মানে না কোন বাধা। মুদি দোকান থেকে একটি কলম নিয়ে বাজারের লিস্টে নিজের সিম নম্বরটি লিখে খুঁজতে শুরু করল চন্দনা-কে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল সিম নম্বরটির নিচের লেখা ছিল- 'ফুলকপিটি কি আনেক ভারি? দশ মিনিট অপেক্ষা করুন গোলাপ এন দেব।' এই একটি কথার কারণে চন্দনা বাজারে আরো কিছুক্ষণ ঘুরতে থাকে। ঠিক দশ মিনিটের ভিতরে অন্তর গোলাপ নিয়ে হাজির। ফুলটা হাতে নিয়েই চন্দনা বলল-'ফুলকপি তো ভালই ছিল, রান্না করে খাওয়া যেত।' এরপর দুজন দুদিকের রাস্তা ধরল। কিন্তু অন্তর-এর অন্তর থেকে গেল চন্দনার নিকট। রাতে দুজন ফোনে কথা বলে। বেশ কিছু দিন যাওয়ার পরে তারা বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পড়াশুনা শেষ হয়ানি কারো। কি হবে তাহলে? বছর দুয়েক পরে অন্তর এম.এ শেষ করবে আর চন্দনা বি.এ শেষ করবে। সিদ্ধান্তের বড় অভাব হয়ে গেল। আসলেই এই বয়সটা সিদ্ধান্তহীনতার মতনই। তবুও হাল ছাড়ার পাত্র-পাত্রী নয় কেউ।


পরিচ্ছদ-২ 
বৈশাখী বড় লাজুক প্রকৃতির। ভালবাসা কি জিনিস সে জানে না। তবু কোথা থেকে উড়ে এসে বসল ভালবাসার রঙিন প্রজাপতি। বলতে পারেন মাঝ রাতে পূর্ণিমার চাঁদ। মূল ব্যাপারটা হল- কেউ যদি তার দিকে তাকায় তাহলে সে মনে করে তাকে সে পছন্দ করে, আবার কেউ যদি হাসে তবে মনে করে তাকে উপহাস করছে। দ্বিধা-সংশয় নিয়ে কাটে এই আরকি। কিছুদিন হল কে যেন অচেনা নম্বর থেকে তাকে কল করে প্রেম নিবেদন করেছে। সে ভাবল বাড়িতে জানাজানি হলে পড়াশুনা এখানেই শেষ হয়ে যাবে। তবুও মন বলে কথা। ছেলেটিকে না দেখেই বিভিন্ন কথার জাল বুনতে শুরু করে। দখিনা বাতাসে উড়ুউড়ু মন চলতে থাকে নাও প্রেমে সাগরে। আনেক রাত পর্যন্ত জেগে তাদের কথা চলে। আবশেষে অদেখার মুক্তি মিলবে সেই ভরসায় দেখা হবে বৈশাখী মেলায় বৈশাখীর সাথে ছেলেটির। কিন্তু নিয়তির কি খেলা। বদলে দিল সম্পূর্ণ চিত্রের বৈচিত্র। যে কথাটি গোপন ছিল তা ফাস হয়ে গেল। বৈশাখীর মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্র নিজতেজ হতে শুরু করল। এতদিন যার সাথে তার কথা হয়েছে সে বিবাহিত। লাজুক বৈশাখী পান্তা-ইলিশের মত হারিয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু চন্দনা ও অন্তর-এর সাথে দেখা হওয়ায় বেঁচে গেল এ-যাত্রায়। 
তারা তিনজন একত্রে বসে সিদ্ধান্ত নিল, কে কি করবে। সামনের জৈষ্ঠে চন্দনা ও অন্তর বিয়ে করবে। কিন্তু বৈশাখী বাধা দিল। বৈশাখী বলল, দুটা বছর অপেক্ষা কর চন্দনা। যদি প্রকৃত ভালবেসে থাকিস তবে তোদের কেউ আটকাতে পারবে না। লাজুক বৈশাখীর মুখে একথা শুনে অবাক হয়ে গেল চন্দনা। চন্দনা আরো অবাক হল যখন বৈশাখী বলল- জীবনকে সাজাতে হলে আগে একটা কর্মসংস্থান দরকার। আর দুজনকেই সমান অগ্রাধিকার দিতে হবে কর্মের প্রতি। এই একটি বছর ভালভাবে পড়াশুনা করে একটি কর্মে সেটেল্ট হতে হবে। এখন বিয়ে করলে দুদিন পর ঠোকাঠুকি শুরু হবে। - বৈশাখীর কথায় অন্তর তার ভুল বঝতে পারল। আসলেই পড়াশুনা শেষ না করে বিয়ে করা উচিত হবে না। তাছাড়া একটা কর্মেরও প্রয়োজন আছে।
এরকম অদ্ভুত কথা শুনে বৈশাখী-কে রহস্যময়ী মনে হতে লাগল চন্দনার নিকট। এদিক ওদিক ঘুরে তারা বাড়ি ফিরবে এমন সময় একটা রিক্সার আঘাতে বৈশাখীর শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে গেল। গাছের শুকনো পাতার মত মুখটা মলিন হয়ে গেল বৈশাখীর। চন্দনা বুঝতে পারল, বৈশাখীর মন খারাপ। একটু পাশে দাঁড়িয়ে অন্তর ও চন্দনা কি যেন আলাপ করে নিল। তারপর তিনজনে একটা শপিংমলে গেল। অন্তর ও চন্দনা বৈশাখী-কে একটা গিফট কিনে দিল। একথা সেকথা বলার পর দিন শেষে বাড়ি ফিরল। বাইরে থেকে খেয়ে আসায় আর খাওয়ার প্রয়োজন হল না তাদের। রাতে ঘুমিয়ে পড়ল তারা। হঠা স্বপ্ন দেখে জেগে উঠল চন্দনা। দেখল বৈশাখী তাকে কিছু একটা বলতে চাইছে কিন্তু বলতে পারছে না। এমন সময় বৈশাখী-কে কল করল চন্দনা। কল রিসিভ করতেই চন্দনা বৈশাখী-কে বলল- গিফটা কেমন হয়েছে রে! বৈশাখী না দেখেই বলল, ভাল। কিছুক্ষণ পর ফোনটা রেখে দিল এবং গিফট খুলে লাল একটা শাড়ি দেখে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করল।




গল্পটি ভাল লাগলে শেয়ার করবেন।
তাহলে এরকম ছোট গল্প খুব শিঘ্রই পাবেন। 
(এডমিন)

Friday, March 21, 2014

Sudhu Valobasar Jonno (শুধু ভালবাসার জন্য)


ভালবাসার জন্য
দুর্গম মরু পাড়ি দিতে পারি নিমিশে।
পারি শীতের কুয়াশায় খুঁজে নিতে
প্রিয়তমার শিশিরস্নাত বদনখানি।
আমি হিমালয়ে যেতে পারি পবনের পাখায় ভর করে।
টগবগিয়ে ঘোড়া ছোটাতে পারি
ট্রয়-এর মত আরেকটি যুদ্ধ করতে।
আমি রাতের আধার ও সূর্যের সন্ধিক্ষণে
অপেক্ষায় থাকতে পারি শতবর্ষ।
হাজার পদ্মের পাপড়ি বিছাতে পারি-
সহস্র কণ্ঠক সয়ে আনতে পারি অজস্র গোলাপ।
আমি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় যেতে পারি,
আমি উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু যেতে পারি
শুধু তুমি যদি ভালবাসা দাও।






Thursday, March 20, 2014

Arther Kiria (অর্থের ক্রিয়া)


অর্থের অসমাপ্ত ক্রিয়া
    দিনে দিনে মুর্খ করেছে আমায়-
তার একবিন্দু নিতে চাইলেও
দেব না ভেবেছি।
যে ক্রিয়া মুছে দিতে পারে
    জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাস,
তার পিছে ছুটছি অহরহ
কিবা দিন কিবা রাত্রি।

মুঠো মুঠো দৌলত
  কেড়েছে সুখ বস্তা বস্তা।
তাই ফেলে দিয়েছি সমুদ্রের মাঝে
যে কানা কড়ি ছিল দু'পকেটে,
এখন শূন্য কড়িতে
     বসে আছি নদীর তটে
শুধু দেখবার আশায়, কি ঘটে
নিশ্চই তা নয় সস্তা?

এই তো সুখের শঙ্খ বেজে উঠল,
প্রদীপ জ্বেলে বসে আছে ধীর গতির আশ্বাসে-
এ-মনের বিশ্বাস।






Wednesday, March 19, 2014

Bujhe Nita Hoy (বুঝে নিতে হয়)


অনেকটা পথ পাড়ি দেবার ছিল
কিন্তু পারিনি,
যা কিছু বলার ছিল
তাও বলতে পারিনি-
তবে "কিছু কথা বুঝে নিতে হয়"
মধুময় কথার পিঠে কথার ছলনায়।

মনে মনে লুকোচুরি
   হেঁয়ালীর ফুলকুঁড়ি
সবটাই না পাওয়ার বেদনায়,
মিছে মিছে হাসি শুধু
সরাসরি বলতে না পারায়।

ফুলে ফুলে মালা গাঁথি
       ক্যানভাসে ছবি আঁকি
দেখে না ঐ দু'নয়ন?
আমি তো বুঝে গেছি
         ভালবাসার নেই বাকি
তবু কেন বোঝে না সে হৃদয়?

হাসি-খুশি রাশি রাশি দিয়েছি সাজিয়ে আজি
বলতে পারি নি লিখেছি যেথা
কোন এক মানবীর আভিমান,
দেখেও দেখে না বুঝেও বোঝে না
তবু করি তার জয়গান,
করে না করুক সে শত অপমান।

কত কথা ভাবে সে
       নিশ্চুপ নির্ঘুম বালিশে
কিছু না কিছু পাওয়ার আশায়-
তার কাছে আছেকি প্রেমের ভাষাটি?
মনের কথাটি বুঝে নিতে হয়
কখনো কখনো না কিছু বলতে পারায়।